Wellcome to National Portal
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সভা,র‌্যালী,স্বেচ্ছাসেবক সমাবেশ/সেমিনার

সভা

২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কর্মসূচীর মাঠ পর্যায়ে এ পর্যন্ত উপজেলা কমিটির ৫০ টি, ইউনিয়ন কমিটির ৪০০ টি সভা আয়োজন করা হয়েছে।

র‌্যালী

২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কর্মসূচীর মাঠ পর্যায়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে এ পর্যন্ত ৪২ টি উপজেলায় ৪২টি এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার ৩টি সিটি এলাকায় ৩ টি সহ মোট ৪৫ টি  দুর্যোগ গণসচেতনতামূলক র‌্যালী আয়োজন করা হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক সমাবেশ/সেমিনার

২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে  ১২ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে ভোলা জেলায়১২ নভেম্বর ১৯৭০ ম্মরণে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সমাবেশ ২০২২: শোক থেকে শক্তিস্বেচ্ছাসেবক সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, যা ‘ভোলা সাইক্লোন’ নামে পরিচিত। এই ঘূর্ণিঝড়ে দশ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। প্রায় ৯০% সামুদ্রিক জেলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনী কর্মকান্ড ছেড়ে ঐ সময় মানুষের পাশে দাঁড়ান। সে সময় তিনি দুর্যোগে একটি আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থাসহ কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালে রেড ক্রিসেন্ট উদ্যোগ হিসেবে সিপিপির জন্ম হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৭৩ সালে এটি বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ কর্মসূচি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সিপিপি বাংলাদেশকে ঘূর্ণিঝড় সহনীয়তা অর্জনের দীর্ঘ পথে এগিয়ে নেয়। এরই সাথে বাংলাদেশও আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল হয়ে উঠেছে।

 

প্রতিবছর এই দিবসটি ১৯৭০ সালের সেই ভয়াবহ স্মৃতিচারণ এবং তৎসঙ্গে সচেতনতার লক্ষ্যে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হয়। এ বছর এটি একটু ভিন্নভাবে উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘শোক থেকে শক্তি’ নামের এই আয়োজনে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ঘুরে দাঁড়ানোর ধারাটি ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই আয়োজনে মূল অংশগ্রহণকারী ছিলেন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকগণ, যারা এই পরিবর্তনের ধারার মূল সৈনিক।

 

১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ভোলা জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই এ বছর এই আয়োজনটি ১২ নভেম্বর ২০২২ তারিখে ভোলা জেলা সদরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সিপিপি মূল আয়োজক হিসেবে ছিল। ভোলার জেলা প্রশাসন সহ-আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। উক্ত আয়োজনের সমুদয় ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার শেল্টার প্রজেক্ট (এমডিএসপি)’ থেকে।

কার্যক্রম: দিনব্যাপী কর্মসূচি হয়েছে। মূল আয়োজনসমূহ নিম্নরূপ:

  • স্বেচ্ছাসেবক সমাবেশ
  • ১২ নভেম্বরের স্মৃতিচারণ ও প্রার্থনা
  • মূল প্রবন্ধ/উপস্থাপনা ‘শোক থেকে শক্তি’
  • চিত্র প্রদর্শনী
  • বহুমাত্রিক দুর্যোগ মহড়া
  • সিপিপি সাংস্কৃতিক ইউনিট কর্তৃক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
  • প্রবীণ স্বেচ্ছাসেবকগণকে পুরষ্কার/সম্মাননা প্রদান

 

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রণোদনা সমাবেশ ২০২২

গত ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সুশীলন মাঠে সিপিপি, স্বেচ্ছাসেবক প্রণোদনা সমাবেশ- ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকগণ ঘূর্ণিঝড় মৌসুম ছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকে। তারা কোনরূপ প্রাপ্তির প্রত্যাশা ব্যতিরেকেই বিপন্ন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে। একটি প্রণোদনা সমাবেশ তদেরকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে পারে। পারস্পরিক ভাব বিনিময়, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দুর্যোগের সময় অনুসৃত বিভিন্ন কৌশল প্রদর্শন, বিনোদন ইত্যাদি অনুষঙ্গ নিয়ে এই প্রণোদনা সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রথম আয়োজন: প্রথম আয়োজন হিসেবে সাতক্ষীরার জেলার শ্যামনগর উপজেলাকে নির্বাচন করা হয়েছে। গত তিন বছর ধরে সবকয়টি ঘূর্ণিঝড় এই এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, যার ফলে এই এলাকার স্বেচ্ছাসেবকগণ মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম করেছে। এই কারণে শ্যামনগরকে প্রথম ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে।

তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

কার্যক্রম: দিনব্যাপী কর্মসূচি অনিুষ্ঠিত হয়েছে। মূল আয়োজনসমূহ নিম্নরূপ:

  • স্বেচ্ছাসেবক সমাবেশ
  • বহুমাত্রিক দুর্যোগ মহড়া
  • কসরত ও প্রতিযোগিতা (নারী ও পুরুষ পৃথক ইভেন্ট):
    • উদ্ধার দৌঁড় (কাঁধে মানুষ/ডামি নিয়ে)
    • উদ্ধার দৌড় (ডামিসহ স্ট্রেচার নিয়ে)
    • পানি থেকে উদ্ধার সাঁতার (কাঁধে ডামি নিয়ে)
    • নিরাপত্তা উপকরণ পরিধান করে কর্দমাক্ত/জলমগ্ন এলাকা অতিক্রম
  • সিপিপি সাংস্কৃতিক ইউনিট কর্তৃক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
  • পুরষ্কার বিতরণী