সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা ২০২১
অবতরণিকা:
এই নির্দেশিকা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা হিসেবে গণ্য হবে। এই নির্দেশিকাতে সর্বমোট ১৩ (তের) টি অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত আছে। অনুচ্ছেদসমূহ ব্যাঞ্জনবর্ণের ক্রমানুসারে সন্নিবেশিত হয়েছে। মানবিক মূল্যবোধের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সকল প্রকার পক্ষপাতিত্ব, প্ররোচনা, অনুকম্পা ও বৈষম্য পরিহারপূর্বক বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, নীতিমালা ও স্থায়ী আদেশাবলী এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আদর্শ ও মূলনীতির আলোকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
বিদ্যমান সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক উপবিধি ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে অনুষ্ঠিত ৩৪তম সভায় আলোচ্য সূচি-৬ এ ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচি স্বেচ্ছাসেবক উপবিধি সংশোধন ও অনুমোদিত হয়, যা ১ জুলাই ১৯৯৮ তারিখ থেকে কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক বিদ্যমান সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক উপবিধির কিছু ধারা ও উপধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধনের মাধ্যমে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক উপবিধি হালনাগাদ করে এই নির্দেশিকাটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নির্দেশিকাটি চূড়ান্ত অনুমোদনের পর বিদ্যমান ‘উপবিধিটি’ বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৯৭০ সালে নভেম্বর মাসের মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর তৎকালীন লীগ অব রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এণ্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এর উদ্যোগে বাংলাদেশের উপকূলীয় জনসাধারণের জানমাল রক্ষার্থে ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১ জুলাই ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিপিপিকে সরকারি কর্মসূচি হিসেবে অনুমোদন করেন।
সিপিপির কর্ম এলাকা বাংলাদেশের উপকূলীয় ও উপকূলের নিকটবর্তী নদী তীরবর্তী জেলাসমূহে বিস্তৃত। ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই হতেঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচি (সিপিপি) বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি যৌথ কর্মসূচি হিসেবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসেসতর্ক সংকেত প্রচার, জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা, উদ্ধার ও অনুসন্ধান, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে সহায়তার ক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ করে আসছে।
বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা, কর্ম এলাকা, কর্মপরিধি বৃদ্ধির কারণে বিদ্যমান সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক উপবিধিটি সময়োপযোগী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কর্মসূচির সার্বিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে পূর্বের উপবিধিটি সংশোধন করে এ ‘নির্দেশিকা’ পুনঃপ্রণীত হলো ।
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম:
(১) এই নির্দেশিকাটি ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচি (সিপিপি)এর সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা ২০২১ নামে অভিহিত হবে।
(২) এই স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা ২০২১ ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচি (সিপিপি) এর মাঠ পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
(৩) এই নির্দেশিকাতে মোট ১৩ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
সংজ্ঞা: বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকলে এই নির্দেশিকায়
(১) ‘সিপিপি (CPP)’ বলতে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ কে বুঝাবে।
(২) ‘সংগঠন’ বলতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচি (সিপিপি)কে বুঝাবে।
(৩) ‘সাংগঠনিক কাঠামো’ বলতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা গঠিত গ্রাম (ইউনিট), ইউনিয়ন ও উপজেলাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক সাংগঠনিক কাঠামোকে বুঝাবে।
(৪) ‘কমিটি’ বলতে স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা নির্বাচিত গ্রাম (ইউনিট), ইউনিয়ন ও উপজেলা ভিত্তিক সাংগঠনিক কমিটিকেই বুঝাবে।
(৫) ‘নির্দেশিকা’ বলতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি ( সিপিপি) এর স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকাকে বুঝাবে।
(৬) ‘অনুচ্ছেদ’ বলতে এই স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকার অনুচ্ছেদকে বুঝাবে।
(৭) ‘উপ-অনুচ্ছেদ’ বলতে এই স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকার অনুচ্ছেদের অন্তর্গত উপ-অনুচ্ছেদকে বুঝাবে।
(৮) ‘স্বেচ্ছাসেবক’ বলতে যে ব্যক্তি মানব বা প্রকৃতি ও পরিবেশের কল্যানের জন্য সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছায় ব্যক্তিগতভাবে অথবা কোন সংগঠনের অধীনে শ্রম বা সেবা দান করে থাকে, তাকে বোঝায়। তবে এই নির্দেশিকায় ‘স্বেচ্ছাসেবক’ বলতে ‘সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক’ বুঝাবে।
(৯) ‘উপজেলা টিম লিডার’ বলতে সিপিপি’র কর্ম এলাকার উপজেলায় কর্মসূচির নির্বাচিত ইউনিয়ন টিম লিডারদের দ্বারা নির্বাচিত টিম লিডারকে বুঝাবে।
(১০) ‘ইউনিয়ন টিম লিডার’ বলতে সিপিপি’র কর্ম এলাকার উপজেলায় কর্মসূচির ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্বাচিত ইউনিট টিম লিডারদের দ্বারা নির্বাচিত টিম লিডারকে বুঝাবে।
(১১) ‘ইউনিট টিম লিডার’ বলতে সিপিপি’র কর্ম এলাকার উপজেলায় গ্রামভিত্তিক কর্মসূচির নির্বাচিত ইউনিট সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত টিম লিডারকে বুঝাবে।
(১২) ‘মেয়াদ’ বলতে নির্দেশিকাতে উল্লেখকৃত সময়সীমাকে বুঝাবে।
(১৩) ‘শপথ’বলতে নির্দেশিকাতে স্বেচ্ছাসেবকের প্রতিজ্ঞা/শপথকে বুঝাবে।
(১৪) ‘নির্বাচন’ বলতে নির্দেশিকায় বর্ণিত বিভিন্ন কাঠামোর টিম লিডার এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নির্বাচনকে বুঝাবে।
(১৫) ‘যোগ্যতা’ বলতে নির্দেশিকাতে বর্ণিত স্বেচ্ছাসেবকের অন্তর্ভুক্তির যোগ্যতাকে বুঝাবে।
(১৬) ‘সভা’ বলতে নির্দেশিকায় বর্ণিত স্বেচ্ছাসেবকের বিভিন্ন স্তরে অনুষ্ঠিত সভাকে বুঝাবে।
(১৭) ‘SOD’ বলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী বুঝাবে।
(১৮) ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন’ বলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ বিষয়ক আইনকে বুঝাবে।
(১৯) ‘নীতিমালা’ বলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ বিষয়ক নীতিমালাকে বুঝাবে।
অনুচ্ছেদ-১ স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তিকরণ :
ক) যে কাউকে স্বেচ্ছাসেবক হতে হলে অবশ্যই স্ব-স্ব ইউনিট (গ্রাম) এর বাসিন্দা হতে হবে অর্থ্যাৎ কর্মসূচি কর্তৃক নির্ধারিত ইউনিটের আওতাভূক্ত এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে।
খ) স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকালে বয়স সীমা ১৮ (আঠার) হতে ৩৫ (পয়ঁত্রিশ) বৎসরের মধ্যে হতে হবে। বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
গ) ন্যূন্যতম এসএসসি/সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
ঘ) অন্তর্ভুক্তিকালীন সময়ে বাছাই পরীক্ষায় (লিখিত/মৌখিক) উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষার ফলাফল দৃষ্টে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক অন্তভূর্ক্ত করা হবে।
ঙ) সবল, সুস্থ, স্বাস্থ্যবান ও কর্মঠ হতে হবে (অঙ্গহীন, বিকলাঙ্গ ও শারিরীকভাবে অক্ষম কোন ব্যক্তি সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না)।
চ) কোন প্ররোচনা ব্যতিরেকে সেবামূলক কাজে আগ্রহী হতে হবে।
ছ) নিজ কর্তব্যের প্রতি অনুগত ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
জ) স্বেচ্ছায় সেবামূলক কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময়, সুযোগ ও মানসিকতা থাকতে হবে।
ঝ) সামাজিক ও ফৌজদারী মামলায় অভিযোগ মুক্ত হতে হবে।
ঞ) স্থানীয় জনসাধারণের নিকট গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।
ট) স্থানীয় অধিবাসী নয়, এরূপ সরকারি চাকুরিজীবী স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না।
ঠ) সরকারি, বেসরকারি অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের বদলীযোগ্য চাকুরিজীবী স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না।
ড) বলিষ্ঠ ও স্পষ্ট কন্ঠস্বরের অধিকারী হতে হবে।
ঢ) বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, নীতিমালা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (SOD), আন্তর্জাতিক মানবিক মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আদর্শ ও মুলনীতির প্রতি আস্থাভাজন ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
ন) স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকালীন অর্ন্তভুক্তি ফি বাবদ ১০০/-(একশত) টাকা বা সময়ে সময়ে নির্ধারিত এককালীন প্রদান করতে হবে।
ত) স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে প্রাথমিক নিয়োগের পর উপযুক্ততা যাচাইয়ের জন্য ৩ (তিন) মাস শিক্ষানবিশ থাকতে হবে এবং উক্ত সময়ে তার নির্ধারিত কার্যক্রমের উপযুক্ততা নিয়োগ কমিটি কর্তৃক বিবেচিত হলে তাকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়মিত করা হবে।
অনুচ্ছেদ-২ স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তকরণ পদ্ধতি:
ক) কর্মসূচির আওতাভুক্ত নতুন উপজেলা/নতুন চরাঞ্চলের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তিকরণে কর্মসূচির আঞ্চলিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা কর্মকর্তা এবং পরিচালক কর্তৃক মনোনীত একজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট বাছাই/অন্তর্ভুক্তিকরণ কমিটি গঠিত হবে।
খ) কর্মসূচির আওতাভুক্ত নতুন উপজেলা/নতুন চরাঞ্চলের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারী ও প্রচার প্রচারণাপূর্বক স্থানীয় কর্মসূচির কর্মকর্তা জনসাধারণের মধ্য হতে দরখাস্ত আহবান করবেন। বাছাই কমিটি প্রাপ্ত দরখাস্ত বাছাই করে প্রতি ইউনিটে ১০ (দশ) জন পুরুষ ও ১০ (দশ) জন নারী স্বেচ্ছাসেবক মোট ২০ (বিশ) অন্তর্ভুক্ত করবে। প্রয়োজনবোধে বাছাই কমিটি বিভিন্ন ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এর সদস্য এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবে।
গ) কর্মসূচির আওতাভুক্ত নতুন উপজেলা/নতুন চরাঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তির পর বাছাই কমিটি প্রয়োজনীয় ইউনিট, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি গঠন করবেন এবং সিপিপি প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন গ্রহণ করবেন।
ঘ) কর্মসূচির আওতাভুক্ত বিদ্যমান এলাকায় ইউনিট কমিটি পুনর্গঠন করতে হলে পুরাতন ইউনিটের শূণ্য পদে স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তির জন্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নতুন সদস্য অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। উক্ত অর্ন্তভুক্তির বিষয়টি ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটির সভায় অনুমোদিত হতে হবে। ইউনিটে নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি সিপিপি আঞ্চলিক এবং প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করতে হবে। ইউনিয়ন কমিটি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে উপজেলা কার্যালয়ের প্রস্তাব মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সিপিপি আঞ্চলিক কার্যালয় অনুমোদন করবে এবং সিপিপি প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করবে। তবে উপজেলা কমিটি পূনর্গঠনের ক্ষেত্রে উপজেলা কর্মকর্তার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কর্মকর্তার সুপারিশসহ সিপিপি প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে হবে। প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে উপজেলা কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে এবং উপজেলা কমিটি পুনর্গঠন/নির্বাচনের সময় প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং পুনর্গঠিত উপজেলা কমিটি প্রধান কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।
ঙ) এলাকা ও জনসংখ্যা ভিত্তিতে ইউনিট এলাকার প্রতি গ্রাম হতে যথাসম্ভব সমহারে স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
চ) একই বাড়ী হতে একাধিক ব্যক্তি স্বেচ্ছাসেবক (পুরুষ) হতে পারবেন না। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিলযোগ্য। নারী স্বেচ্ছাসেবক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিবাহিত মহিলাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
অনুচ্ছেদ-৩ স্বেচ্ছাসেবকের শপথ গ্রহণ:
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) তে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবার পর;
(১) প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবককে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি(সিপিপি) নির্দেশিত শপথ পাঠপূর্বক নিজ স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে।
(২) শপথের প্রতিটি শব্দ, বাক্য ও মর্মার্থের প্রতি অকুন্ঠ শ্রদ্ধা ও প্রতিপালনের অঙ্গিকার করতে হবে।
(৩) শপথ বাক্য
আমি............................ পিতা/স্বামী....................... মাতা........................ গ্রাম................... ইউনিয়নঃ................ উপজেলাঃ................. ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচির (সিপিপি) একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে মনোনিত হয়ে এ মর্মে শপথ করছি যে, আমার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব এবং কর্তব্য যথাযথ মেনে চলবো।
আমি, নিজেকে মানবিক মূল্যবোধের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ করে সকল প্রকার পক্ষপাতিত্ব, প্ররোচনা, অনুকম্পা ও বৈষম্য পরিহারপূর্বক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যমান সকল আইনকানুন শ্রদ্ধাসহ মেনে চলবো।
আমি নিজেকে একজন সফল স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গড়ে তুলবো এবং আমার দৈনন্দিন কাজে, চিন্তায় ও আচরণে সর্বদাই মানবতা, পক্ষপাতহীনতা ও নিরপেক্ষতাকে মুলমন্ত্র ধারণ করে সকলের সাথে সদাচারণ করবো।
আমি, ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন’, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশাবলী’ এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৭ টি মূলনীতি ইত্যাদির যাবতীয় নির্দেশনা প্রতিপালনসহ মেনে চলবো।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রণীত ‘সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা’ আমার কর্মের নির্দেশিকা হিসাবে গণ্য হবে এবং আমি এর প্রতিটি অনুচ্ছেদ ও উপ অনুচ্ছেদের নির্দেশনানুসারে নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবো।
আমি, কখনও ভয় বা অনুকম্পা ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে এমন কোন কাজ বা আচরণ করবো না যাতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচির সাংগঠনিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং ব্যক্তি ও জনসাধারণের ক্ষতি সাধিত হয়।
প্রার্থনা করি, আমি যেন আমার প্রতিজ্ঞাকে সমুন্নত রাখতে পারি, মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে সে সামর্থ প্রদান করুন। আমিন।
স্বাক্ষর :---------------------------
তারিখঃ ----------------------- নাম :-----------------------------
ইউনিট :-----------------------------
পদবী :---------------------------
ইউনিয়ন:------------------------
উপজেলা:------------------------
জেলা :---------------------------
অনুচ্ছেদ-৪ সংগঠন :
ক) ইউনিট পর্যায়: ইউনিটের আয়তন ১.৫ (দেড়)) থেকে ২.৫ (আড়াই) বর্গ কিলোমিটার হতে হবে। লোকসংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার হতে ৪ হাজার জনের মধ্যে হতে হবে। তবে নতুন বসতিপুর্ণ চরাঞ্চলে এ জনসংখ্যা শিথিলযোগ্য। প্রতি ইউনিটের জন্য ১০ (দশ) জন পুরুষ ও ১০ (দশ) জন নারী স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। অন্তর্ভুক্তিকরণ বাছাই কমিটি সরেজমিন জরিপের ভিত্তিতে ইউনিট ম্যাপ প্রণয়ন করতঃ ইউনিট সীমানা ও চৌহদ্দি নির্ধারণ করবে।
সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকদের সমর্থনে/ভোটে একজন ইউনিট টিম লিডার ও দুইজন ডেপুটি ইউনিট টিম লিডার নির্বাচিত হবেন (যার মধ্যে একজন হবেন নারী স্বেচ্ছাসেবক)। নির্বাচিত ইউনিট টিম লিডার ঘূর্ণিঝড় সংকেত প্রচারসহ প্রস্ত্ততিমুলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবেন এবং তিনি ইউনিট পর্যায়ে এ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী সর্বপ্রকার দায় দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের তদারকি করবেন। ইউনিট টিম লিডার এর অবর্তমানে ডেপুটি ইউনিট টিম লিডারদ্বয়ের মধ্যে জ্যেষ্ঠ জন ইউনিটের দায়িত্ব পালন করবেন। স্বেচ্ছাসেবক বাছাই কমিটি যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবকদের পদ বন্টন করবেন।
প্রতিটি টিমের ২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে ৫ টি ভাগে বিভক্ত করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট ১ টি করে গ্রুপ গঠন করা হবে যথা- সংকেত, উদ্ধার, আশ্রয়, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ত্রাণ গ্রুপ। প্রতিটি গ্রুপে ২ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত হবেন।
খ) ইউনিয়ন পর্যায়: কর্মসূচির আওতাভূক্ত এলাকায় সরকারিভাবে স্বীকৃত ইউনিয়নসমূহ কর্মসূচির ইউনিয়ন হিসেবে গণ্য হবে। কমপক্ষে ৩ (তিন) টি ইউনিট না হলে কোন ইউনিয়ন কমিটি সাংগঠনিক ইউনিয়ন হিসেবে গণ্য হবে না। কোন বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলকে সাংগঠনিক প্রয়োজনে ইউনিয়নের মর্যাদা প্রদান করতে হলে কর্মসূচির উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত, আঞ্চলিক কর্মকর্তার সুপারিশসহ প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একজন ইউনিয়ন টিম লিডার ও দুইজন ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডার (যার মধ্যে ১ জন নারী) থাকবেন। ইউনিট টিম লিডারদের মধ্য হতে ইউনিয়নের সকল ইউনিট টিম লিডারদের সমর্থনে/ভোটে একজন ইউনিয়ন টিম লিডার ও দুইজন ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডার নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়ন টিম লিডারের অবর্তমানে ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডারদ্বয়ের মধ্যে জ্যেষ্ঠ জন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করবেন। ইউনিয়নের আওতাধীন সকল ইউনিটের কার্যক্রম ইউনিয়ন টিম লিডার তদারকি করবেন।
গ) পৌরসভা পর্যায়: পৌর সভার আওতায় গঠিত পৌর ইউনিটের সমর্থনে/ভোটে ১ জন পৌর টিম লিডার নির্বাচিত হবেন ও ২ জন পৌর ডেপুটি টিম লিডার নির্বাচিত হবেন ( যার মধ্যে ১ জন মহিলা স্বেচ্ছাসেবক)। পৌর টিম লিডার ইউনিয়ন টিম লিডারের পদমর্যাদা পাবেন। তিনি উপজেলা কমিটির সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। পৌরসভায় ন্যূনতম ৩ টি ইউনিট থাকতে হবে। ৩ টি পৌর ইউনিট না থাকলে পৌর টিম লিডার নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। পৌর ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকগণ আঞ্চলিক কর্মকর্তা/ উপজেলা কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখে কর্মসূচির পৌর ইউনিটের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবেন। পৌর টিম লিডার ও পৌর ডেপুটি টিম লিডারদ্বয়ের মধ্যে জ্যেষ্ঠ জন উপজেলা টিম লিডার ও ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ঘ) সিটি/শহর পর্যায়: সিটি/ শহর পর্যায়ে গঠিত সিটি / শহর ইউনিটের সমর্থনে/ ভোটে একজন সিটি/ শহর টিম লিডার নির্বাচিত হবেন। সিটি/ শহর টিম লিডার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে কর্মসূচির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন। ৩ টি সিটি/শহর ইউনিট না থাকলে সিটি/ শহর টিম লিডার নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। সিটি/শহর ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকগণ আঞ্চলিক কর্মকর্তা/ উপজেলা কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখে কর্মসূচির সিটি/ শহর ইউনিটের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবেন। সিটি/শহর টিম লিডারের অবর্তমানে ডেপুটি সিটি/শহর টিম লিডারদ্বয়ের মধ্যে জ্যেষ্ঠ জন সংশ্লিষ্ট সিটি/শহরের দায়িত্ব পালন করবেন। সিটি/শহরের আওতাধীন সকল ইউনিটের কার্যক্রম সিটি/শহর টিম লিডার তদারকি করবেন।
ঙ) উপজেলা পর্যায়: উপজেলা পর্যায়ে একটি উপজেলা কমিটি থাকবে। উপজেলার আওতাধীন সকল ইউনিয়ন টিম লিডার ও পৌর টিম লিডার সমন্বয়ে কর্মসূচির উপজেলা পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সকল ইউনিয়ন টিম লিডার/পৌর টিম লিডারদের মধ্য হতে ১ জন উপজেলা টিম লিডার ও ২ জন ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার নির্বাচিত হবেন (যাদের মধ্যে ১ জন মহিলা স্বেচ্ছাসেবক)। উপজেলার আওতাধীন সকল ইউনিয়ন টিম লিডার ও পৌর টিম লিডার উপজেলা কর্মকর্তা ও উপজেলা টিম লিডার/ডেপুটি উপজেলা টিম লিডারদ্বয়কে সহযোগিতা করবেন। ইউনিয়ন টিম লিডার ও পৌর টিম লিডার উপজেলা টিম লিডার ও ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার পদে নির্বাচন করতে পারবেন। ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডার ও পৌর ডেপুটি টিম লিডারগণ ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার পদে নির্বাচন করতে পারবেন। উপজেলা পর্যায়ের সকল ইউনিট টিম লিডার ও ডেপুটি ইউনিট টিম লিডারদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা টিম লিডার ও ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার নির্বাচিত হবেন।
চ) সিপিপি নগর/মহানগর স্বেচ্ছাসেবকঃ সিটি/মহানগরেও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা যেতে পারে, যারা ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি অন্যান্য দুর্যোগে বিপন্ন মানবতার কল্যাণে কাজ করবেন। প্রধান কার্যালয়ের প্রয়োজনে ঢাকা শহরে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নগর স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা যাবে। তাদের গঠন, নির্বাচন প্রক্রিয়া, দায়িত্ব/কর্তব্য উপেজলা কমিটির ন্যায় হবে।
ছ) এছাড়া প্রয়োজনে সময়ে সময়ে বিশেষ সক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট গঠন করা যাবে। এই ইউনিটসমেূহের জন্য পৃথক গঠন ও পরিচালনা পদ্ধতি নিরুপণ করা যাবে।
জ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নারী ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে সকল পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব উৎসাহিত করতে হবে।
অনুচ্ছেদ-৫ কমিটি:
ক) ইউনিট কমিটি: ইউনিট (গ্রাম) পর্যায়ে একটি ইউনিট কমিটি থাকবে। ইউনিটের সকল স্বেচ্ছাসেবক কমিটির সদস্য থাকবেন। পদাধিকার বলে ইউনিট টিম লিডার উক্ত কমিটির সভাপতি থাকবেন।
খ) ইউনিয়ন কমিটি: ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি ইউনিয়ন কমিটি থাকবে। ইউনিয়নের সকল ইউনিট টিম লিডার ও ডেপুটি ইউনিট টিম লিডারগণ ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হবেন। পদাধিকার বলে ইউনিয়ন টিম লিডার/ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডারদ্বয় যথাক্রমে কমিটির সভাপতি ও সহ-সভাপতি হবেন। তারা ইউনিয়নের সার্বিক প্রস্ত্ততিমুলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন।
গ) পৌর/সিটি কমিটি: সিপিপির আওতাধীন পৌর/সিটির অন্তর্গত পৌর টিম লিডার/সিটি টিম লিডারদের নিয়ে পৌর/সিটি কমিটি গঠিত হবে। আঞ্চলিক কর্মকর্তা গঠিত কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পদাধিকার বলে পৌর টিম লিডার/সিটি টিম লিডারগণ উক্ত কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তারা পৌর/সিটির সার্বিক প্রস্ত্ততিমুলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
ঘ) উপজেলা কমিটি: উপজেলা পর্যায়ে একটি উপজেলা কমিটি থাকবে। উপজেলার সকল ইউনিয়ন টিম লিডার ও পৌর টিম লিডার এবং উপজেলা কর্মকর্তা সমন্বয়ে উপজেলা কমিটি গঠিত হবে। উপজেলা কর্মকর্তা উপজেলা কমিটির সভাপতি হবেন। উপজেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ যাবতীয় প্রস্ত্ততিমুলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৬ সভা:
ক) নিয়মিত সভা: ইউনিট, ইউনিয়ন, পৌর/সিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতি ৩ মাস অন্তর নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
খ) বিশেষ ও জরুরি সভা: সংগঠনের প্রয়োজনে যে কোন সময়ে উল্লিখিত সকল কমিটির বিশেষ ও জরুরি সভা আহবান করা যাবে।
গ) বার্ষিক সাধারণ সভা: উপজেলা বাৎসরিক সাধারণ সভা প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হবে। বাৎসরিক কর্মকান্ড, যন্ত্রপাতির পর্যবেক্ষণ, প্রস্ত্ততিমূলক কর্মকান্ডের পর্যালোচনা, সুপারিশমালা ও নির্বাচন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ইত্যাদির আলোকে প্রতি বছর উপজেলার সকল ইউনিট টিম লিডারদের সমন্বয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঘ) উপজেলা কমিটির নিয়মিত সভা: উপজেলা কমিটির নিয়মিত সভায় উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা সভাপতিত্ব করবেন এবং বিশেষ সভায় উপজেলা টিম লিডার সভাপতিত্ব করবেন, উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে আঞ্চলিক কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে উপজেলা টিম লিডার উপজেলা কমিটির সভা আহ্বান করতে পারবেন এবং উপজেলা কমিটির এই সভায় উপজেলা টিম লিডার সভাপতিত্ব করবেন।
ঙ) নিয়মিত সভা: ইউনিট, ইউনিয়ন, পৌরসভা/সিটি/উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের নিয়ে সাংগঠনিক, প্রশাসনিক ও প্রস্ত্ততিমূলক বিষয়ে প্রতি ৩ মাস অন্তর যে সকল সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভা নিয়মিত সভা হিসেবে গণ্য হবে।
চ) বিশেষ সভা/জরুরি সভা/নির্বাচনী সভা: কর্মসূচির প্রয়োজন বিবেচনায় আয়োজিত সভাসমূহ বিশেষ সভা হিসেবে গণ্য হবে। কর্মসুচির জরুরী কোন প্রয়োজনে আহুত সভা জরুরি সভা হিসেবে গণ্য হবে। সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে আহুত সভা নির্বাচনী সভা হিসেবে গণ্য হবে।
ছ) নিয়মিত সভা আহ্বান: ইউনিট কমিটির সভা, ইউনিয়ন, পৌর/সিটি কমিটির সভা ৩ (তিন) দিন পূর্বে এবং উপজেলা কমিটির সভা ৫(পাঁচ) দিন পূর্বে লিখিত নোটিশ/মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে আহ্বান করতে হবে।
জ) বিশেষ সভা/ জরুরী সভা আহ্বান: বিশেষ/ জরুরী সভা যে কোন সময়ে মৌখিক, মোবাইল ম্যাসেজ অথবা লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে আহ্বান করা যাবে।
ঝ) নির্বাচনী সভা আহ্বান: নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭ দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবকদের বিজ্ঞপ্তি/ নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ কর্মসুচির উপজেলা অফিস, পৌর/সিটি ও ইউনিয়ন অফিসের নোটিশ বোর্ডে প্রচারের জন্য লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ই-মেইল, মোবাইল ম্যাসেজ ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের সহযোগিতা গ্রহণ করা যেতে পারে।
অনুচ্ছেদ- ৭ কোরাম পদ্ধতি:
ক) নিয়মিত সভা: সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের উপস্থিতিতে নিয়মিত সভা পরিচালনা করা যাবে।
খ) বিশেষ সভা/জরুরী সভা: এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে বিশেষ ও জরুরী সভা পরিচালনা করা যাবে।
গ) নির্বাচনী সভাঃ দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে নির্বাচনী সভা পরিচালনা করা যাবে।
ইউনিট পর্যায়:
ইউনিট পর্যায়ে ন্যুনতম দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সকল স্বেচ্ছাসেবকের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন ইউনিট টিম লিডার, একজন ডেপুটি ইউনিট টিম লিডার (পুরুষ) ও একজন ডেপুটি ইউনিট টিম লিডার (নারী) নির্বাচিত হবেন। প্রদত্ত ভোটের সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীকে ইউনিট টিম লিডার এবং ডেপুটি ইউনিট টিম লিডার নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন এবং নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করবেন। নির্বাচিত ইউনিট টিম লিডার এবং ডেপুটি টিম লিডারদ্বয় ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন। নির্বাচিত ইউনিট টিম লিডার সংকেত বিভাগ, ডেপুটি ইউনিট টিম লিডারদ্বয় সহঃ সংকেত বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন। ইউনিট টিম লিডার তার ইউনিটের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। ইউনিটের অন্যান্য পদসমূহ স্বেচ্ছাসেবকদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা পদ বন্টন করবেন।
ইউনিয়ন পর্যায়:
ইউনিয়ন পর্যায়ে ন্যুনতম দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউনিট টিম লিডার (পুরুষ), ডেপুটি ইউনিট টিম লিডারগণের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন ইউনিয়ন টিম লিডার, একজন ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডার (পুরুষ) ও একজন ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডার (নারী) নির্বাচিত হবেন। প্রদত্ত ভোটের সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীকে ইউনিয়ন টিম লিডার এবং ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডার নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত ইউনিয়ন টিম লিডার এবং ডেপুটি ইউনিয়ন টিম লিডারদ্বয় উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনে উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন এবং নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করবেন।
পৌর/সিটি পর্যায়:
ইউনিট পর্যায়:
পৌর পর্যায়ে ন্যুনতম দুই তৃতীয়ায়ংশ সদস্যের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রত্যক্ষ ভোটে পৌর ইউনিট টিম লিডার, একজন পৌর ডেপুটি ইউনিট টিম লিডার (পুরুষ) ও একজন পৌর ডেপুটি ইউনিট টিম লিডার (নারী) নির্বাচিত হবেন। প্রদত্ত ভোটের সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীকে পৌর ইউনিট টিম লিডার এবং ডেপুটি পৌর ইউনিট টিম লিডার নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত পৌর ইউনিট টিম লিডার সংকেত বিভাগ, ডেপুটি পৌর ইউনিট টিম লিডারদ্বয় সহঃ সংকেত বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন। সিপিপি আঞ্চলিক কর্মকর্তা/উপজেলা কর্মকর্তা পৌর ইউনিটের অন্যান্য পদসমূহ স্বেচ্ছাসেবকদের যোগ্যতা অনুযায়ী বন্টন করবেন। নির্বাচিত পৌর ইউনিট টিম লিডার ও ডেপুটি পৌর ইউনিট টিম লিডারদ্বয় পৌরসভার অন্তর্গত পৌর টিম লিডার নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন। উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন এবং নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করবেন।
পৌর সভা পর্যায়ে ন্যুনতম দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌর ইউনিট টিম লিডার ও ডেপুটি পৌর ইউনিট টিম লিডারগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ১ জন পৌর টিম লিডার, ১ জন ডেপুটি পৌর টিম লিডার (পুরুষ) ও ১ জন পৌর ডেপুটি টিম লিডার (নারী) নির্বাচিত হবেন। প্রদত্ত ভোটের সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীকে পৌর টিম লিডার এবং ডেপুটি পৌর টিম লিডার নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। পৌর টিম লিডার নির্বাচনে সিপিপি আঞ্চলিক কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন এবং নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করবেন। পৌর টিম লিডার ইউনিয়ন টিম লিডারের মর্যাদা পাবেন।
উপজেলা পর্যায়:
উপজেলা পর্যায়ে ন্যুনতম দুই তৃতীয়াংশ ইউনিট টিম লীডার, ডেপুটি ইউনিট টিম লিডার, পৌর টেম লিডার ও ডেপুটি পৌর টিম লিডারগণের উপস্থিতি ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পর্যায়ে ইউনিট টিম লিডার, ডেপুটি ইউনিট টিম লিডার, পৌর ইউনিট টিম লিডার ও পৌর ডেপুটি ইউনিট টিম লিডারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একজন উপজেলা টিম লিডার ও একজন ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার (পুরুষ) ও একজন ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার (নারী) নির্বাচিত হবেন। প্রদত্ত ভোটের সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীকে উপজেলা টিম লিডার ও ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
উপজেলা নির্বাচন: আঞ্চলিক কর্মকর্তা, উপজেলা কর্মকর্তা এবং সিপিপি প্রধান কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি সমন্বয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত হবে।
ক) ভোটার তালিকা প্রণয়ন, প্রকাশ ও নির্বাচনী তফশীল ঘোষণাসহ নির্বাচন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
খ) নির্বাচনে প্রাপ্তভোট সমান হলে লটারীর মাধ্যমে নির্বাচনী ফলাফল মীমাংসা করা হবে ( সকল নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে)।
গ) প্রত্যেক ইউনিট, ইউনিয়ন, পৌর/ সিটি ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত টিম লিডারদের কার্যকাল ৩ (তিন ) বছর হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ ( নববই) দিনের মধ্যে সকল কমিটি পুনর্গঠন/ নবায়ন/ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
অনুচ্ছেদ- ৮ কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য:
ক) কর্মসূচির যাবতীয় প্রস্ত্ততিমুলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য ইউনিট পর্যায়ে ইউনিট কমিটি, ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি, পৌর/সিটি পর্যায়ে পৌর/সিটি কমিটি ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা কমিটি দায়িত্ব পালন করবে এবংয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বিকভাবে দায়ী থাকবে।
খ) সংশ্লিষ্ট কার্যাবলীর সুষ্ঠু সম্পাদন, উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সাংগঠনিক জড়তা দূরীকরণ, যে কোন প্রকার জটিলতা নিরসন ইত্যাদি ব্যাপারে ইউনিট, ইউনিয়ন, পৌর/সিটি ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটির সভা আহ্বান করতে হবে। প্রত্যেক কমিটির সভাপতি প্রয়োজন অনুযায়ী সভা আহবান করবেন।
গ) ইউনিট টিম লিডারের অনুপস্থিতিতে সংকেত বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত সহঃ সংকেত পদের স্বেচ্ছাসেবক প্রচার ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ) ইউনিট কমিটির সিদ্ধান্ত ইউনিয়ন কমিটির সভায় এবং ইউনিয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত উপজেলা কমিটির সভায় আলোচিত হবে। পৌর/সিটি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচিত হবে।
ঙ) যে সকল বিষয়াদিতে উপজেলা কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসমর্থ হবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সে সকল বিষয়াদি কমিটির মতামত/সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কর্মকর্তার দপ্তরে প্রেরণ করতে হবে এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তার সুপারিশসহ উক্ত রেজুলেশন সিপিপি প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে।
অনুচ্ছেদ- ৯ স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, নীতিমালা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (SOD), মানবিক মূল্যবোধ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মূলনীতিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
খ) কর্মসূচি প্রধান কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় ও উপজেলা কার্যালয় হতে প্রদত্ত নির্দেশাবলী কর্মসুচির সকল স্বেচ্ছাসেবক এবং টিম লীডারকে মেনে চলতে হবে।
গ) কর্মসূচি প্রদত্ত প্রশিক্ষণসমূহ আগ্রহের সাথে গ্রহণ করতে হবে।
ঘ) ‘সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা’য় বর্ণিত নির্ধারিত কার্যক্রম নিজ নিজ এলাকায় বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সমস্ত জনসাধারণকে বোঝাতে হবে।
ঙ) প্রয়োজনীয় মূহূর্তে নিজের দায়িত্ববোধকে কোনক্রমেই অবহেলা করা যাবে না।
চ) নির্ধারিত দায়িত্ব ও কর্তব্যকে বৃহত্তর জনকল্যানে রাষ্ট্রীয়/নাগরিক দায়িত্ব বলে গণ্য করতে হবে।
ছ) কর্মসূচি কর্তৃক প্রদত্ত সকল প্রকার যন্ত্রপাতি ও মালামাল যত্নের সাথে ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে হবে।
জ) কর্মসূচি হতে অব্যাহতি গ্রহণের পর রক্ষিত সকল সাংকেতিক যন্ত্রপাতি ও স্বেচ্ছাসেবক গিয়ার, মটর সাইকেল, বাই সাইকেল ইত্যাদি স্ব- স্ব উপজেলা/জেলা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট জমাদান করতে হবে।
ঝ) স্বেচ্ছাসেবকদের নিকট রক্ষিত সাংকেতিক যন্ত্রপাতি, মটর সাইকেল, বাই সাইকেল ইত্যাদি চুরি, হারানো বা আগুণে পুড়ে গেলে অতি দ্রুত স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করতঃ আঞ্চলিক ও উপজেলা কার্যালয়কে অবহিত করতে হবে।
ঞ) কর্মসূচি হতে অব্যাহতি গ্রহণের পর স্বেচ্ছাসেবকদের নিকট রক্ষিত সাংকেতিক যন্ত্রপাতি, মটর সাইকেল, বাই সাইকেল ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জমাদান করা না হলে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুচ্ছেদ- ১০ কার্যকাল:
ক) কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকগণ অনুর্ধ্ব ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বৎসর বয়স পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকগণকে বয়সের প্রমানস্বরূপ স্কুল সার্টিফিকেট/জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্মনিবন্ধন দাখিল করতে হবে। তবে তার শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সামর্থ থাকতে হবে।
খ) ইউনিট, ইউনিয়ন ও উপজেলা টিম লিডারগণের কার্যকালের মেয়াদ ৩ (তিন) বৎসর হবে। উপজেলা টিম লিডার ও ডেপুটি উপজেলা টিম লিডার পদে একত্রে ২ (দুই) মেয়াদের বেশী দায়িত্ব পালন করা যাবে না।
গ) ৩ (তিন) বৎসর কার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ (নব্বই) দিন পূর্বে ইউনিট/ইউনিয়ন/সিটি/পৌর/উপজেলা কমিটি পুনর্গঠন পুনবিন্যাস কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিটি পদে নবায়ন/নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সকল কমিটি স্ব- স্ব দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।
ঘ) কর্মসূচির নির্বাহী প্রধান যে কোন সময় ইউনিট, ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি, জেলা ও উপজেলা কমিটি যৌক্তিক কারণে ভেঙ্গে দেওয়া বা বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। তিনি বাতিলকৃত ইউনিট অন্যত্র স্থানান্তর করতঃ পুনর্গঠন করতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ-১১ প্রণোদনা: স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দের কাজে আগ্রহ বৃদ্ধি ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে তাঁদেরকে সময়ে সময়ে কাজের মুল্যায়ন ও স্বীকৃতি স্বরূপ আথিক প্রণোদনা ও পুরস্কার প্রদান করা যেতে পারে।
অনুচ্ছেদ-১২ অপসারণ ও অব্যাহতি:
যে কোন অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবককে তদন্ত সাপেক্ষে অপসারণ করা যাবে, যদিঃ-
ক) স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন ও পদত্যাগ পত্র উপজেলা কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত হয়।
খ) নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও পর পর ৩ (তিন) টি নিয়মিত সভায় অনুপস্থিত থাকেন।
গ) দুর্যোগ চলাকালীন সময়ে অবহেলা অথবা দায়িত্ব পালনে গাফিলতি প্রমাণিত হয়।
ঘ) পর পর ৩ (তিন) টি মূল্যায়নে অকৃতকার্য হন অথবা পর পর তিনটি মূল্যায়নে অংশগ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেন অথবা অনুপস্থিত থাকেন।
ঙ) কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে কোন স্বেচ্ছাসেবক একাধারে ৯০ (নব্বই) দিনের অধিক নিজ এলাকায় অনুপস্থিত থাকেন।
চ) কর্মসূচির পরিপন্থী ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কাজ করেন।
ছ) ফৌজদারী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাদন্ড ভোগ করেন।
জ) একই স্বেচ্ছাসেবক একই বিষয়ে কোন দরখাস্তের পক্ষে বিপক্ষে স্বাক্ষর প্রদান করেন।
ঝ) সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য উপযুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক কারো বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদান করেন এবং তা প্রমাণিত হয়।
ঞ) স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তির শর্তাবলী কোন কারণে ভঙ্গ করেন।
অনুচ্ছেদ-১৩ এই নির্দেশিকার উপর্যুক্ত অনুচ্ছেদ ও উপ-অনুচ্ছেদসমূহের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, সংশোধন ও আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ বাতিল করার কর্তৃত্ব ঘূর্ণিঝড় প্রস্ত্ততি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ড সংরক্ষণ করেন।